Breaking News
Home / Education / মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

প্রিয় পাঠক, অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে, মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়? মাসিক মিস হওয়ার কাছাকাছি একটি সময়ে বা ১-২ সপ্তাহের মাঝে কিছু গর্ভধারণের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। গর্ভধারণের ৬ সপ্তাহের মাঝেই প্রায় ৬০ ভাগ মহিলার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয় এবং ৮ সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ মহিলা এসব লক্ষণ অনুভব করতে পারেন। তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় সেই সম্পর্কে।

কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে, প্রেগন্যান্ট বা গর্ভধারণ প্রত্যেকটি মহিলার জন্য অন্যতম সুন্দর ও উত্তেজ নাময় একটি মুহূর্ত। কারন হচ্ছে এই সময় থেকেই শুরু হয় রোমাঞ্চকর পরিস্থিতি। তাই, মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় এবং প্রেগন্যান্ট হওয়ার লক্ষণগুলো সঠিক ভাবে জানা অত্যন্ত জরুরি বিষয়। মাসিক মিস হওয়ার হওয়ার পর থেকেই মহিলাদের মনে এই চিন্তাভাবনা ঘুরপাক করতে থাকে। মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় এই সম্পর্কে জানার পূর্বে প্রেগন্যান্ট হওয়ার লক্ষণগুলো জানা খুবই জরুরি।

মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

বাচ্চা কনসিভ হওয়ার লক্ষণ কখন দেখা যায়? । মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

বিশেষজ্ঞ ডাক্তারা বলেন, কোন কোন ক্ষেত্রে কনসিভ করার ১ দিন পর থেকেই প্রেগন্যান্ট হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়। এমনকি এটি নির্ভর করে আপনি এই পরিস্থিতির জন্য কতটা প্রস্তুত এবং আপনার শরীরের কন্ডিশনের উপর। যদিও ডিম্বাণুটি ফ্যালোপিয়ান টিউবে পৌঁছাতে ও জরায়ুর মধ্যে প্রতিস্থাপিত হতে প্রায় ৬ দিন সময় লেগে যায়। কিন্তু ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার পর থেকেই শরীরে বাচ্চা কনসিভ হওয়ার লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে।

এই সময়টি অন্যতম যন্ত্রণাদায়ক একটি সময়। বিশেষ করে কনসিভ করার লক্ষণ দেখা দেওয়ার পর থেকে। অন্যদিকে প্রথমবার প্রেগন্যান্ট হওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা উদ্বিগ্ন হওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ দেখার পর উদ্বিগ্ন হলে চলবে না। আপনাকে নিরুদ্বেগ থাকতে হবে। আপনাকে যারা ভালবাসে এমন মানুষের সাথে থাকুন এবং ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করুন। আগেই বলেছি, বাচ্চা কনসিভ হওয়ার লক্ষণ শুরু থেকে প্রত্যেকটি মহিলার জন্য অন্যতম সুন্দর ও উত্তে জনাময় একটি মুহূর্ত এটি। নিজের এই উত্তে জনাময় মুহূর্তে অপ্রয়োজনীয় দুশ্চিন্তা থেকে বাঁচার জন্য সমস্যাগুলো আপনার ডাক্তার বা বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করুন। ইতিমধ্যে যারা এই সময়টি অতিক্রম করে এসেছে তারাই আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবে।

সঙ্গমের পর পিরিয়ড মিস করা অন্যতম একটি সাধারণ ব্যাপার। পিরিয়ড মিস করলেই সব সময় সেটা বাচ্চা কনসিভ হওয়ার লক্ষণ বা প্রেগন্যান্ট হওয়ার লক্ষণ হিসাবে চিহ্নিত হয় না। কিন্তু একটি সম্ভাবনা থেকে যায় প্রেগন্যান্ট হওয়ার। নিশ্চিত হওয়ার জন্য বাসায় প্রেগনেন্সি টেস্ট করে দেখতে পারেন। After how many days pregnancy is confirmed

কখন প্রেগনেন্সি টেস্ট বা গর্ভধারণ পরীক্ষা করতে হবে? । মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

আপনি যদি ভেবে থাকেন, মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়। তাহলে মাসিক বন্ধ হওয়ার কতদিন পর আপনি গর্ভধারণ পরীক্ষা করবেন এই বিষয়টিও আপনার জানতে হবে। তবে একবার মাসিক বন্ধ হওয়ার পরে ঠিক ১ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। আপনি খুব সহজে বাড়িতে বসেই প্রেগনেন্সি টেস্ট বা গর্ভধারণ পরীক্ষা করতে পারবেন। উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলোর কোন অভিজ্ঞতা যদি আপনার হয়ে থাকে তাহলে নিজেকে আর প্রশ্ন না করে আজই প্রেগনেন্সি টেস্ট বা গর্ভধারণ পরীক্ষা করে দেখুন। প্রেগনেন্সি টেস্ট করার জন্য আপনাকে ফার্মেসী থেকে প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট কিনতে হবে। পরে আপনার নিজের মুত্রের সামান্য নমুনা সংগ্রহ করুন। এবার ড্রপার ব্যবহার করে কয়েকফোঁটা মূত্র প্রেগনেন্সি টেস্ট কিটের উপরে দিয়ে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে থাকুন। রেজাল্টের জন্য ৫ মিনিটের মতো সময় লাগতে পারে। ৫ মিনিট অপেক্ষার পর যদি রেজাল্ট পজিটিভ দেখালে নিশ্চিত হয়ে যান আপনি গর্ভবতী হয়েছেন। After how many days pregnancy is confirmed

আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কাঁঠাল খাওয়া যাবে কি? 

এটি মানা হয়ে থাকে যে নিশ্চিত ফলাফলের জন্য আপনাকে অন্তত ১ সপ্তাহ করতে হবে। এই অপেক্ষাতেই হবে আপনার মাসিক বন্ধ হওয়ার পরে। গর্ভবতী মহিলাদের মুত্রে HCG( হিউম্যান ক্রনিক গোনাডোট্রপিন)নামক হরমোনটি থাকে অনেক পরিমাণে, এটি অমরা তে উৎপন্ন হয় প্রজননের পর। যার ফলাফল হচ্ছে আপনি প্রেগনেন্সির ক্ষেত্রে সফলতার ফল পেতে যাচ্ছেন। যখন আপনি পরীক্ষার মাধ্যমে এব্যাপারে সফলভাবে নিশ্চিত হবেন, তখন বুঝবেন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করার সময় হয়ে গেছে। গর্ভাবস্থা চলাকালীন সবধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে আপনি একটি সুন্দর ও সুস্থ শিশু জন্ম দিতে সক্ষম হন।

প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে কি লাগে । After how many days pregnancy is confirmed

কোন মহিলা গর্ভবতী হলে তার শরীরের Beta-HCG নামক একটি হরমোন তৈরি হয়ে থাকে। তার প্রস্তাবেও এই হরমোনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এটি স্পষ্ট যে, কোন মহিলার প্রস্রাবে Beta-HCG নামক হরমোনের উপস্থিতি থাকলে তিনি গর্ভবতী হয়েছেন এটি নিশ্চিত এবং যদি এই ধরনের উপস্থিতির না পাওয়া যায় তাহলে বুঝতে হবে তিনি গর্ভবতী হন নি। বেটা-এইচসিজি হরমোন এর উপস্থিতি বা প্রেগনেন্সি টেস্ট করার জন্য ফার্মেসিতে “প্রেগনেন্সি টেস্ট স্ট্রিপ” নামক একটি ডিভাইস বা যন্ত্র পাওয়া যায়। এই ডিভাইসটির সাহায্যে খুব সহজে ঘরে বসেই পরীক্ষা করা যায় নিজে নিজেই, প্রস্রাবে Beta-HCG নামক হরমোনটি আছে কি নেই।

প্রস্রাবে বিটাএইচসিজি হরমোনের উপস্থিতি অর্থাৎ প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার জন্য ফার্মেসীতে এক ধরনের ডিভাইস বা যন্ত্র পাওয়া যায়। এই ডিভাইসটিকে প্রেগন্যান্সি টেস্ট স্ট্রিপ বলে। এই স্ট্রিপের সাহায্যে খুব সহজেই প্রস্রাবে বিটাএইচসিজি হরমোন এর উপস্থিতি বুঝা যায়। এর উপস্থিতি খুঁজে পেলে আপনি প্রেগনেন্ট আর খুঁজে না পাওয়া গেলে বুঝতে হবে আপনি গর্ভবতী হন নি। মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে নিচে দেওয়া বিষয়গুলো পড়তে থাকুন।

প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার নিয়ম । মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে আপনাকে এই অংশটি পড়তে হবে। মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা আলোচনা করেছি প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার নিয়ম নিয়ে। আপনি যদি ঘরে বসে আপনার নিজের প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে চান তাহলে আপনাকে শুরু ফার্মেসি থেকে একটি প্রেগনেন্সি টেস্ট স্ট্রিপ কিনতে হবে এবং প্রয়োজন হবে সকালের প্রস্রাব। সকালের প্রস্রাবে ঘনত্ব বেশি হয়ে থাকে এবং Beta-HCG হরমোনের উপস্থিতি ও বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে ফলে প্রেগনেন্সি টেস্ট ভালো হয়।

মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর Pregnancy Test করতে হয়? । মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

নিয়মিতভাবে যেদিনে হওয়ার কথা সেটা অতিক্রম হওয়ার কমপক্ষে এক সপ্তাহ পরে প্রেগন্যান্সি টেস্ট (pregnancy test) করার নিয়ম। মাসিক মিস হওয়ার এক সপ্তাহ পরে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হবে। আপনার প্রশ্নের উত্তর হয়তো এতক্ষণে পেয়ে গেছেন, আপনি হয়তো প্রশ্ন ছিল মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়? মাসিক মিস হওয়ার এক সপ্তাহ পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার মধ্য দিয়ে জানতে পারবেন আপনি প্রেগনেন্ট হয়েছেন কিনা।

প্রেগন্যান্সি টেস্ট এর রিপোর্ট যেভাবে বুঝবেন । After how many days pregnancy is confirmed

আমাদের আজকের পোষ্ট মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় এর অন্যতম একটি অংশ প্রেগন্যান্সি টেস্ট এর রিপোর্ট। ফার্মেসি থেকে কিনে আনা স্ট্রিপে নিয়ম বা নির্দেশনা দেওয়া থাকে। স্ট্রিপে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী আপনি প্রেগনেন্সি টেস্ট করবেন। উল্লেখিত সময় পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে স্ট্রিপে ফলাফল আসা আজ পর্যন্ত। ফলাফল আসতে মোটামুটি পাঁচ মিনিটের মত সময় লাগতে পারে। এরপর যদি প্রেগন্যান্সি স্ট্রিপ এ একটি দাগ আসে তাহলে বুঝে নিবেন আপনি গর্ভবতী হন নি বা আপনি প্রেগনেন্ট নন। কিন্তু যদি দুইটি দাগ আসে তাহলে প্রেগনেন্ট হয়ে বা গর্ভবতী হয়েছে। আর যদি কোন দাগ না আসে তাহলে ফার্মেসি থেকে নতুন প্রেগন্যান্সি স্ট্রিপ কিনে এনে একই নিয়মে পুনরায় টেস্ট করুন।

কনসিভ করার সাধারণ লক্ষণগুলো । মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় সেই সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। এখন জানাবো বাচ্চা কনসিভ হওয়ার লক্ষণ গুলোর মধ্যে যেগুলো সাধারণ লক্ষণ।

১। বমি বমি ভাব ও হজমের সমস্যা

আমাদের আজকের আলোচনা মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় তার ১ম নাম্বারে রয়েছে বমি বমি ভাব ও হজমের সমস্যা নিয়ে। বাচ্চা কনসিভ হওয়ার লক্ষণ গুলোর মধ্যে অতি সাধারণ একটি লক্ষণ বমি বমি ভাব। বমি বমি ভাব বা মর্নিং সিকনেস প্রত্যেক গর্ভবতীর মহিলার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। কোন ক্ষেত্রে এই লক্ষণটি কনসিভ বা প্রেগন্যান্ট হওয়ার ২-৩ সপ্তাহ পরে দেখা দেয়। আবার কোন ক্ষেত্রে ১-২ মাস পরেও দেখা দিয়ে থাকে। বাচ্চা কনসিভ হওয়ার লক্ষণ গুলোর লক্ষণ বমি বমি ভাব লক্ষণটি দিনের যেকোনো সময় হতে পারে। সকালে, দুপুরে, বিকালে কিংবা রাতে। বমি বমি ভাবটি কনসিভ করার লক্ষণ হিসাবেও গণ্য হয়ে থাকে। কোন গর্ভবতীর জন্য বাচ্চা কনসিভ হওয়ার লক্ষণ বমি বমি ভাবটি কনসিভ করার লক্ষণটি প্রেগনেন্সির পুরো সময় জুড়ে থাকতে পারে আবার অন্য কারো ক্ষেত্রে প্রেগনেন্সির প্রথম কয়েকমাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে । এমন ভাগ্যবতী গর্ভবতী খুবই কম পাওয়া যায় যাদের কনসিভ করার লক্ষণ বমি বমি ভাব লক্ষণ এর সমস্যায় পড়তে হয় না।

এই সময়টাতে বমি বমি ভাব ও ফল জন্মের সাথে সম্পর্ক এমন আরও কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন অ্যাসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা। এই সময়ে যেহেতু তাদের হরমোন ও পেটের গঠন পরিবর্তন হতে শুরু করে। তাই মর্নিং সিকনেস কমানোর জন্য বা দূর করার জন্য ডাক্তাররা কিছু ওষুধ দিয়ে থাকেন যেগুলো কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না। ওষুধগুলো খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় এইজন্য যে, প্রেগন্যান্ট থাকা সময়ে কোনরকম অ্যালকোহল বা তামাক সেবন করা উচিত না। দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকা যাবেনা। যদি আপনার মর্নিং সিকনেস এর অভিজ্ঞতা পূর্বে থেকে থাকে তাহলে আপনাকে তরল পানি মাত্রা বাড়িয়ে দিতে হবে যা আপনার স্টমাকে এসিড তৈরি করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।

এই সময়ে নিজেকে কোন গন্ধযুক্ত, মসলাদার, তেল জাতীয়, ভারী খাবার এবং ভাজা খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে। কিছু সময় পর পর অল্প পরিমাণে হালকা খাবার খেতে হবে। আদা ও ভিটামিন B6 যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে পারেন কারণ এ ধরনের খাবার মর্নিং সিকনেস কমাতে সাহায্য করে।

২। কালশিটে স্ত নবৃন্ত ও কোমল স্ত ন

আমাদের আজকের আলোচনা মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় তার ২য় নাম্বারে রয়েছে কালশিটে স্ত নবৃন্ত ও কোমল স্ত ন নিয়ে। গর্ভধারণের প্রাথমিক সময়ে স্ত নের বেশকিছু অদ্ভুত পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। যেমন-

ভেরিকোস শিরা বৃদ্ধি হতে থাকে

আকার বড় হওয়া শুরু হয়

কোমল স্থানগুলোতে যন্ত্রণা হতে থাকে

কোন কোন মহিলার ক্ষেত্রে স্ত নবৃন্ত গুলি ফুলে যেতে থাকে ও চারপাশে ক্রমশ কালচে হতে শুরু করে।

এই সমস্যাগুলো হওয়ার কারন এই সময়ে শরীরে থাকা ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন নামক হরমোন গুলো পরিবর্তন হতে থাকে। হরমোনগুলোর হঠাৎ পরিবর্তনের ফলেই গর্ভবতী নারীদের এই সমস্যাগুলো লক্ষণ করা যায়। এই লক্ষণগুলোকে যে আমরা সমস্যা বলছি এগুলো আসলে কোন সমস্যা নয়। কারন, হরমোনগুলোর এই পরিবর্তন স্ত ন এলাকায় রক্ত সরবরাহ বাড়িয়ে দেয় এবং এগুলোকে অনেকটা সংবেদনশীল করে তুলতে সাহায্য করে। প্রেগনেন্সির সময় গুলোতে অনেক সময় স্ত ন এলাকায় ফাটল শুরু হতে থাকে। ফলে স্ট্রেচ মার্ক বা প্রসারিত হওয়ার চিহ্নগুলো ধিরে ধিরে স্পষ্ট হতে থাকে।

প্রেগনেন্সির এই সময়টাতে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে যেহেতু আপনার স্ত নগুলো বেড়ে উঠে। এজন্য পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে এমন সময় বড় সাইজের ব্রা ব্যাবহার করার জন্য। ভালো মানের ও সুতি ব্রা ব্যবহার করবেন যাতে করে আপনার স্ত নটিকে আরামদায়ক ও সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।

৩। মেজাজ হারিয়ে ফেলা এবং বিরক্তিভাব

আমাদের আজকের আলোচনা মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় তার ৩ নাম্বারে রয়েছে মেজাজ হারিয়ে ফেলা এবং বিরক্তিভাব নিয়ে। প্রেগনেন্সির সময় একজন গর্ভবতীর শরীরে থাকা বিভিন্ন হরমোন পরিবর্তন হতে শুরু করে। হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও তারা মাঝেমধ্যেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। এর প্রভাব পরে প্রেগনেন্সিজেমন। এছাড়াও আরও কিছু সমস্যা হয়ে থাকে। যেমন-

  • বমি বমি ভাব
  • দুশ্চিন্তা
  • যন্ত্রণা
  • শারীরিক অস্থিরতা
  • মাথা ধরা
  • ঘুমের ব্যাঘাত
  • উক্ত সমস্যাগুলি দূর করতে যে কাজগুলো করা প্রয়োজন
  • বেশি মাত্রায় বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন
  • পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে
  • দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে হবে
  • বিশুদ্ধ বাতাসে প্রশ্বাস নিতে হবে
  • নিয়মিত ভাবে হালকা ব্যায়াম করতে হবে
  • কখনো হতাশ হওয়া যাবে না

৪। ঘন ঘন মূত্রত্যাগ

আমাদের আজকের আলোচনা মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় তার ৪র্থ নাম্বারে রয়েছে ঘন ঘন মূত্রত্যাগ নিয়ে। একজন গর্ভবতীর শরীরে অনেক ধরনের পরিবর্তন হতে থাকে হরমোনের পরিবর্তনের ফলে। আর এই হরমোন পরিবর্তন হওয়ার কারণে শরীরে রক্ত চলাচলের মাত্রা বেড়ে উঠে। কিডনিতে রক্ত সরবরাহ বাড়ার কারণে মূত্রাশয়টি ঘনঘন ভরে যায়। গর্ভবস্থার সময় যত বেশি হতে থাকে মূত্রত্যাগের পরিমাণও তত বাড়তেই থাকে। এই কারন হচ্ছে শ্রেণী অঞ্চলের রক্ত সরবরাহের মাত্রা যথাক্রমে বাড়তে থাকে।

এছাড়া গর্ভে থাকা শিশুটিও ক্রমশ মূত্রস্থলীর উপরে চাপ দিতে থাকে। এটিও অন্যতম একটি কারন ঘনঘন মুত্র ত্যাগ হওয়ার। এমনকি গর্ভবতী মহিলাদের লিগামেন্ট প্রসারিত হয় এবং জরায়ুর আকার বড় করে দেয় ফলে মুত্রাশয়ের যে জায়গা থাকে তার পরিমাণ কমে যায়। এটিও ঘনঘন মুত্র ত্যাগের একটি কারন।

৫। খাবারের রুচি চলে যাওয়া ও ক্ষুধামান্যতা

আমাদের আজকের আলোচনা মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় তার ৫ম নাম্বারে রয়েছে খাবারের রুচি চলে যাওয়া ও ক্ষুধামান্যতা নিয়ে। মহিলারা গর্ভবস্তায় থাকলে তাদের খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। এমনকি ক্ষুধামান্যতায় ভোগের অনেক মাত্রায়। মাঝে মধ্যে গর্ভবতী মহিলারা খাবার দেখলে অনেক বিরক্ত হয়ে যান। এছাড়াও একসময় যেই খাবার টি তার প্রিয় ছিল, গর্ভবস্থায় থাকা সময়ে সেই খাবারটার দিকে ২য় বার ফিরেও তাকাতে চান না গর্ভবতী মহিলারা। এটির কারণ হচ্ছে শরীরের হরমোনের পরিবর্তন। নিয়মিত হরমোনের পরিবর্তন হওয়ার ফয় খাবারের প্রতি অনীহা তৈরি হয়।

৬। অবসাদ

আমাদের আজকের আলোচনা মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় তার ৬ষ্ঠ নাম্বারে রয়েছে অবসাদ নিয়ে। বাচ্চা কনসিভ হওয়ার লক্ষণ গুলোর মধ্যে আরেকটি সাধারণ লক্ষণ হচ্ছে অবসাদ। এ সময়ে আপনার শরীর সবসময় ক্লান্ত অনুভব করতে থাকে। তখন আপনাকে বেশি বেশি বিশ্রাম নিতে হবে এবং ব্যপারটি সবসময় বিশ্রাম নেওয়ার ব্যাপার টি সহজ করে তুলতে হবে। প্রেগন্যান্সি চলার প্রথম ৩ মাস খুবই ঝুঁকিপূর্ণ একটি সময়। ঝুঁকিপূর্ণ এই সময়টাতে বেশি ভারী ওজনের জিনিস তুলতে যাবেন না। সবসময় চেষ্টা করবেন আরামে থাকার, কোন সাহায্য হলে অন্যকে ডাকুন এবং সমস্ত অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো ত্যাগ করে দিন।

গর্ভাবস্থায় থাকা প্রথম তিন মাস অমরা –টির বিকাশের জন্য প্রয়োজন হয় প্রচুর পরিমানের শক্তি, যার কারণে অবসাদ এসে থাকে। এছাড়াও রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এজন্য শরীর অবসন্ন হতে শুরু করে। যাই হোক, এটি নিয়ে ভয় পাবার কিছু নেই। কারণ– আগেই বলেছি, প্রেগন্যান্ট বা গর্ভধারণ প্রত্যেকটি মহিলার জন্য অন্যতম সুন্দর ও উত্তেজ না ময় একটি মুহূর্ত। সেই তুলনায় গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস এটি খুবই স্বাভাবিক একটি অনুভুতি।

৭। শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়

আমাদের আজকের আলোচনা মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় তার ৭ম নাম্বারে রয়েছে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে।একটু লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন আপনার শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। সবসময় আপনি শরীরে গরম তাপমাত্রা অনুভব করতে পারবেন। ঠিক যেমনটা পিরিয়ড থাকা কালিন সময়ে হত। হরমোনের পরিবর্তনের ফলে শরীরে এই তাপমাত্রা বেড়ে থাকে। ২ সপ্তাহ এই তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

৮। কোমরের নিচের যন্ত্রণা অনুভব হয়

আমাদের আজকের আলোচনা মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় তার ৮ম নাম্বারে রয়েছে কোমরের নিচের যন্ত্রণা অনুভব হয়। প্রেগন্যান্সির প্রথম দিকে কোমরের নিচে বিভিন্ন কারণে যন্ত্রণা হয়ে থাকে। কোমরের নিচের যন্ত্রণা অনুভব হওয়ার প্রথম কারণ হচ্ছে ওজন বৃদ্ধি হওয়া। এছাড়াও জরায়ুর প্রসারণ, শরীর শিথিল হয়ে যায় অঙ্গবিন্যাস পরিবর্তন হতে থাকে। আর এ সকল কারণে ব্যাক পেইন বা কোমরের নিচে যন্ত্রনা হয়ে থাকে।

বিশেষ করে কোমরের উপরের অংশ কিংবা ধরের দিকে সব চেয়ে বেশি ওজন হয়ে থাকে এবং যা কোমরের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। ফলে চাপ সৃষ্টি হয়। গর্ভাবস্থায় থাকা অবস্থায় প্রত্যেকেরই খুব সাবধানুতার সাথে অঙ্গ–প্রত্যঙ্গের সঞ্চালন করতে হবে। এমন অনেক মহিলাই আছে যারা অবহেলা করে নিজেদের পিছনের দিক টির ক্ষতি করে ফেলে, ফলে সেটি তাদের শারীরিক গঠনকে সারা জীবনের জন্য পরিবর্তন করে দেয়। গর্ভাবস্থায় থাকা অবস্থায় এই বিষয়গুলো ভালো করে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাদের কাঁধ ঝুকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, গলা গোলাকৃতি দেখা যায় ও জোড়া চিবুক। বাচ্চা কনসিভ হওয়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে উক্ত লক্ষণগুলো অন্যতম।

৯। ইম্প্লান্টেশন এর কারণে রক্তপাত

আমাদের আজকের আলোচনা মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় তার ৯ম নাম্বারে রয়েছে ইম্প্লান্টেশন এর কারণে রক্তপাত। গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন সময়ে কিছু মহিলা সামান্য রক্তপাত–এর মতন সমস্যায় পড়ে থাকেন। এই সময় নিষিক্ত ডিম্বানু জরায়ুর মধ্যে নিজেকে প্রতিস্থাপিত করতে থাকে, ফলে সামান্য রক্তপাত হয়ে থাকে। সাধারণত এই রক্তপাত গর্ভধারণের ৩-৬ দিন পর হয়ে থাকে। যেহেতু নিষিক্ত ডিম্বানু প্রতিস্থাপিত হতে শুরু করে। তাই এসময় লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যোনি জাত স্রাব কি হালকা গোলাপি বর্ণের হয়ে যায়। সাধারণ ঋতুস্রাব হওয়ার সময়েও অত গাঁড় লাল বর্ণ ধারণ করে না। নিষিক্ত ডিম্বাণু প্রতিস্থাপিত হওয়ার কারণে কিছু গর্ভবতী মহিলার স্রাব এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং পেতে খিঁচুনি ও ব্যথা হয়ে থাকে। এই রক্তপাত যদি বেশি পরিমাণে হতে থাকে তাহলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

১০। ব্লটিং বা ফুলে উঠা

আমাদের আজকের আলোচনা মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় তার ১০ম নাম্বারে রয়েছে ব্লটিং বা ফুলে উঠা। শরীরের নানা রকমের হরমোনের অবস্থান। বিভিন্ন রকমের হরমোনের পরিবর্তন হওয়া এবং বমি বমি ভাব হওয়ার কারণে গ্যাস্ট্রিক প্রবলেম বা পাচন জনিত সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে কিছু মহিলা নিজেকে ফুলো ফুলো অনুভব করতে থাকে। এমনকি এই সময় পরিপাকতন্ত্রের পেশিগুলোও কিছুটা শিথিল হতে থাকে। যাতে শ্রেনিচক্র টি প্রসারিত হতে পারে ও নিজেকে প্রসবের জন্য তৈরি করতে পারে। এসবের কারণে নিষিক্ত ডিম্বানুও, যোনির প্রাচীর ফুলে উঠা শুরু করে। আর জন্যই গর্ভবতী মহিলাদের ব্লটিং সমস্যাটি দেখা দিয়ে থাকে।

আমাদের আজকের পোষ্ট মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় যদি আপনার কোন উপকারে আসে, তাহলে অবশ্যই অন্যের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *