Breaking News
Home / Education / বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে কি পড়তে হবে

বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে কি পড়তে হবে

আসসালামু আলাইকুম, সম্মানিত দ্বীনিভাই ও বোন, আজকে আমি আপনাদের সামনে ছোট একটি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রশ্নটি হচ্ছে বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে কিভাবে পড়া যাবে? অনেকেই জানেন না বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে বিতর নামাজ কিভাবে পড়তে হবে।  আজ আমরা আলোচনা করবো বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে কি পড়বেন এই সম্পর্কে। আপনি যদি দোয়া কুনুত না জানেন এবং জানতে চান বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে কিভাবে বিতর নামাজ পড়বেন; তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। অনেকেই জানতে চায় বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে কি পড়তে হয়? এছাড়াও বিতর নামাজের নিয়ত সম্পর্কে জানতে চায় অনেকে। আপনি যদি বিতর নামাজের নিয়ত এবং বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে কি পড়বেন জানতে চান। তাহলে আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন। এই পোস্টে আমরা আলোচনা করবো বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে ও বিতর নামাজের নিয়ত সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে ও বিতর নামাজের নিয়ত সম্পর্কে। 

বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে কি পড়তে হবে

এশার নামাজের বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম

আপনি নিশ্চয়ই জানেন এশার নামাজের বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে। বিতর নামাজ পড়তে হয় এশার নামাজের পর। এই নামাজ ফজরের আগ পর্যন্ত পড়ার নিয়ম। যদি আপনি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে চান তাহলে তাহাজ্জুদ নামাজের পরে বিতর নামাজ পড়তে হবে। তবে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে না পারলে এশার নামাজের বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম। এশার নামাজের পরে বিতর নামাজ পড়ার অনুমতি রয়েছে। এই বিতর নামাজ পড়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। আপনি যদি বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম জানতে চান। তাহলে এই পোস্টটি পড়তে পারেন।

আরও পড়ুনঃ বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম

 

বিতর নামাজ পড়ার সময় হচ্ছে এশার নামাজের পরপর। এশার নামাজের পরপর বিতর নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। এছাড়া রমজান মাসে তারাবি নামাজ পড়ার পর জামাতের সহিত ইমামের সাথে বিতর নামাজ আদায় করা যায়। 

এছাড়াও বিতর নামাজ তাহাজ্জুদ নামাজের একটি অংশ। এজন্য রাতের পুরো কিয়ামুল্লায়লকেও বিভিন্ন হাদিসে বিতর নামাজ বলা হয়েছে। বিতর নামাজকে বলা হয়েছে শেষ রাতের নামাজ। যখন পড়া হয় তাহাজ্জুদ নামাজ। তবে সঙ্গত কারণ থেকে থাকলে বিতর নামাজ এশার নামাজের সঙ্গে পড়ে নেওয়ার অনুমতি রয়েছে। বিতর নামাজকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিতর (وتر) শব্দটি একটি আরবি শব্দ। বিতর শব্দের অর্থ বিজোড়। এই নামাজ ৩ রাকাত হওয়ায় এটিকে বিতর নামাজ বলা হয়। অনেকেই বিতর নামাজ ১ রাকাতও পড়ে থাকেন। কেননা নামাজে ১ রাকাত যোগ না করলে কোন নামাজি বিজোড় হয় না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, রাতের নফল সালাত দুই দুই, অতঃপর যখন তোমাদের কেউ ফজর হয়ে যাবার আশংকা করবে, তখন যেন সে ১(এক) রাকাত পড়ে নেয়; যা তার পূর্বের সকল নফল সালাতকে বিতর নামাজে পরিণত করবে।

(বুখারী হা/৯৯০; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১২৫৪)

আরও পড়ুনঃ তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা অর্থ সহ

 

বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে

বিতর নামাজ পড়ার জন্য দোয়া কুনুত প্রয়োজন হয়। বিতর নামাজের দোয়া হচ্ছে দোয়া কুনুত। কিন্তু আমাদের অনেকের দোয়া কুনুত মুখস্থ নেই। এজন্য আমরা জানতে চাই বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে কিভাবে বিতর নামাজ আদায় করবো। তাদের জন্য বলে রাখি, বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে ও বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম রয়েছে। কারণ বিতর নামাজে দোয়া কুনুত পড়া ওয়াজিব নয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে আমরা বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে কিভাবে বিতর নামাজ পড়বো? বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম জানার আগে নিচের হাদিসটি পড়ে নিন। 

বিতর নামাজ পড়ার ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, বিতরের নামাজ পড়া আবশ্যক। যে ব্যক্তি বিতর আদায় করবে না, আমাদের জামাআতের সাথে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। (আবু দাউদ)

চলুন এবার জেনে নেই বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম। প্রিয় দ্বীনিভাই ও  বোন। বিতর নামাজে দোয়া কুনুত পড়া ফরজ নয়। বিতর নামাজে দোয়া কুনুত পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। হানাফি মাজহাব অনুযায়ী বিতর নামাজে দোয়া কুনুত পড়া ওয়াজিব। অতএব আমরা বলতে পারি, বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে নামাজ পড়া যাবে কিন্তু বিতর নামাজে দোয়া কুনুত পড়া ফরজ না হলেও অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেহেতু রাসুল (সাঃ) বিতর নামাজে দোয়া কুনুত পাঠ করেছেন এবং এই ব্যাপারে হাদিস রয়েছে। কেউ বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে দোয়া কুনুতের স্থানে অন্য কোন দোয়া বা জিকির পড়ার নিয়ম আছে কি না! বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে সে সরাসরি রুকুতে চলে যাবে। বিতর নামাজে দোয়া কুনুতের স্থানে অন্য কিছু পড়তে হবে এরকম কোন বিধান হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত নয়। দোয়া কুনুতের জায়গায়, আমরা যেখানে দোয়া কুনুত পড়ি অর্থাৎ সুরা ফাতেহা পড়ার পর অন্য একটি সুরা মিলানোর পর আমরা যেখানে দোয়া কুনুত পড়ি, কেউ বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে ওই স্থানে দোয়া কুনুত পড়া তার জন্য জরুরী নয়। সে সরাসরি রুকুতে চলে গেলেও তার নামাজ হয়ে যাবে। এজন্য তার নামাজের কোন ক্ষতি হবে না। 

আশা করছি বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম আপনাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। তবে অবশ্যই দোয়া কুনুত মুখস্থ করার চেষ্টা করবো। যতদিন পর্যন্ত দোয়া কুনুত মুখস্থ না হবে ততদিন দোয়া কুনুতের জায়গায় অন্য কিছু পড়া ঠিক হবে না। আমাদের অবশ্যই দোয়া কুনুত মুখস্থ করতে হবে এবং মুখস্থ করার পর বিতর নামাজে দোয়া কুনুতের জায়গায় পড়তে হবে। দোয়া কুনুত যতটুকু মুখস্থ ততটুকুই পড়বেন তারপর রুকুতে চলে যাবেন। 

বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে দোয়া কুনুতের জায়গায় অন্যকিছু পড়ার নিয়ম বের করা ঠিক হবে না। আমাদের চেষ্টা করতে হবে দোয়া কুনুত মুখস্থ করার এবং বিতর নামাজে দোয়া কুনুত পড়ার। যেহেতু রাসুল (সা:) বিতর নামাজে দোয়া কুনুত পড়েছেন। যারা দেখে দেখে দোয়া কুনুত মুখস্থ করতে চান, তারা এই পোস্টটি দেখতে পারেন। এখানে দোয়া কুনুত দেওয়া রয়েছে আপনি চাইলে এই পোস্ট থেকে দোয়া কুনুত মুখস্থ করে নিতে পারবেন। 

আরও পড়ুনঃ বিতর নামাজে দোয়া কুনুত বাংলা

 

আজ আমরা আলোচনা করেছি বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে। আপনি যদি জানতে চান বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে কি পড়তে হবে, তাহলে এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা জানানোর চেষ্টা করেছি বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে কিভাবে বিতর নামাজ পড়তে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে বিতর নামাজ পড়ার এবং দোয়া কুনুত মুখস্থ করার তৌফিক দান করুন। আমিন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *