আজ আমরা আলোচনা করবো টয়লেটে যাওয়ার দোয়া সম্পর্কে। টয়লেট একটি নাপাক জায়গা। টয়লেটে দুষ্টু জিনেরা বসবাস করে। টয়লেটে বসবাস করা দুষ্টু জিনদের হাত থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহ্র কাছে সাহায্য চাইতে হবে। এজন্য আমাদেরকে টয়লেটে প্রবেশ করার আগে টয়লেটে যাওয়ার দোয়া পরে প্রবেশ করতে হবে।
টয়লেটে প্রবেশের দোয়া :
بِسْمِ اللهِ اَللهُمَّ إِنّيْ أَعًوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَ الْخَبَائِثِ
উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খাবায়িছ।’
অর্থ : ‘আল্লাহর নামে (শুরু করছি); হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে পুরুষ ও স্ত্রী শয়তানের অনিষ্ট তথা ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।’ (বুখারি, মুসলিম, ইবনে মাজাহ)
পড়ার নিয়ম :
টয়লেটে প্রবেশের পূর্বে টয়লেটে যাওয়ার দোয়াটি পড়তে হবে। বাথরুমে বা টয়লেটে দুষ্টু জিন থাকে। তাদের থেকে নিরাপদে থাকার জন্য আমরা টয়লেটে যাওয়ার দোয়া পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর থেকে সাহায্য চাইবো।
দোয়া পড়ার কারণ :
টয়লেট পায়খানা-প্রসাবের স্থান। টয়লেট একটি নাপাকি বা ময়লা আবর্জনা ত্যাগের জায়গা। এই নাপাকি জায়গায় অনেক ধরনের দুষ্টু জিন বসবাস করে থাকে। কোন ব্যক্তি যখন বাথরুম টয়লেটে প্রসাব পায়খানা করার উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে আর তখন টয়লেটে যাওয়ার দোয়া না পরে, তখন ঐ সব বদ ও দুষ্টু জিনেরা মানুষের মস্ট সেন্সিটিভ অরগ্যান (লজ্জাস্থান) নিয়ে খেলা করে থাকে। আর যারা টয়লেটে প্রবেশ করার পূর্বে টয়লেটে যাওয়ার দোয়া পড়ার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে। তখন টয়লেটে থাকা বদ ও দুষ্টু জিনরা ঐ ব্যক্তিকে দেখতে পায় না।
এজন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উম্মতদেরকে টয়লেটে প্রবেশের আগে টয়লেটে প্রবেশের দোয়া পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সব সময় দুষ্টু ও বদ জিনেদের আক্রমণ হতে আশ্রয় চাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন।
আনাস ইবনু মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) যখন পায়খানায় প্রবেশ করতেন, তখন তিনি বলতেন, হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে যাবতীয় পুরুষ ও নারী শয়তানদের থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (বুখারি, হাদিস : ৬৩২২)