Breaking News
Home / Education / চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত – চাঁদপুর জেলার বিখ্যাত খাবার

চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত – চাঁদপুর জেলার বিখ্যাত খাবার

 বন্ধুরা আজ আমরা আলোচনা করব। চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত এবং তার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে। আপনি যদি চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত সে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এখন আমরা আলোচনা করব চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত এবং এ সম্পর্কে বিস্তারিত। চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত সে সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

প্রিয় বন্ধুরা চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত সে সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা অনেকেই অনেক ভাবে গুগল অথবা ইউটিউব এ সার্চ করে থাকেন। আপনারা সকলেই জানেন বাংলাদেশের এক একটি জেলা বিভিন্ন কারণে বিখ্যাত। তেমনি প্রতিটি জেলার মতো চাঁদপুর জেলাও কিছু কিছু জিনিসের জন্য বিখ্যাত। তো আপনাদের জন্য চাঁদপুর কীসের জন্য বিখ্যাত তা নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত

চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত এবং সে সম্পর্কে বিস্তারিত

এখন আমরা চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত সে সম্পর্কে একটা পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেয়াড় চেষ্টা করব। আপনাদের সুবিধার্থে নিচে চাঁদপুর কী কারনে বিখ্যাত তা নিয়ে আলোচনা করা হলো।

চাঁদপুর কীসের জন্য বিখ্যাত

চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত। চাঁদপুর মূলত ইলিশের জন্য বিখ্যাত। বিশেষ করে পদ্মা এবং মেঘনার ইলিশ সকলেই খেতে পছন্দ করে। ইলিশের বাড়ি হিসেবে চাঁদপুরকে আখ্যায়ি করা হয়।

বাংলাদেশের দাক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চাঁদপুর জেলাটি অবস্থিত। এই জেলাটি চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা। ১৯৮৪ সালে চাঁদপুরকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। চাঁদপুর জেলার মোট আয়তন ১৭০৪.০৬ বর্গ কিমি। চাঁদপুর জেলাটি ৮টি উপজেলা এবং ৮টি থানা নিয়ে গঠিত। 

চাঁদপুর জেলাটি তিনটি নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত। নদী তিনটি হল- পদ্মা, মেঘন, এবং ডাকাতিয়া। চাঁদপুরে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যায় যার জন্য এ জেলাকে ইলিশের বাড়ি বলা হয়।

চাঁদপুর জেলার কয়েকটি বিখ্যাত স্থান

এখন আমরা আলোচনা করব চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত এর চাঁদপুর জেলার কয়েকটি বিখ্যাত স্থান। চাঁদপুর জেলার কয়েকটি বিখ্যাত স্থান হল-

  • হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ

  • মৎস্য জাদুঘর, চাঁদপুর

  • রুপসা জমিদারবাড়ি

  • মেঘনা-পদ্মার চর

  • গুরুর চর

  • শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির

  • সাগরপাড়ের দীঘি

  • সাহেবগঞ্জ নীলকুঠি

  • মনসামুড়া

  • লোহাগড় মঠ

ঢাকা থেকে চাঁদপুর কত কিলোমিটার

এখন আমরা আলোচনা করব চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত এর ঢাকা থেকে চাঁদপুর কত কিলোমিটার এই সম্পর্কে। ঢাকা থেকে চাঁদপুর ১৬৯ কিলোমিটার।

ঢাকা থেকে চাঁদপুর লঞ্চে যেতে কত সময় লাগে

 ঢাকা থেকে চাঁদপুর লঞ্চে যেতে কত সময় লাগে। ঢাকা থেকে চাঁদপুর লঞ্চে যেতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা সময় লাগে।

ঢাকা থেকে চাঁদপুর লঞ্চ ভাড়া

ঢাকা থেকে চাঁদপুর লঞ্চে যাওয়ার জন্য কয়েকটি ক্যাটাগরির টিকিট পাওয়া যায়। তবে টিকিটের দাম প্রত্যাশার চেয়ে কম। যদিও, পরিষেবাটি প্রত্যাশা অনুযায়ী বেঁচে থাকে। টিকিটের মূল্য সবার জন্য সাশ্যয়ী ম্যল্যে সেট করা হয়েছে। 

ঢাকা থেকে চাঁদপুর লঞ্চ ভাড়ার তালিকা

সেবা

ভাড়া

3য়-গ্রেড ফ্লোরিং

৭০ টাকা

নিচে চেয়ার

১০০ টাকা

এসি চেয়ার

১৫০ টাকা

একক কেবিন

৩০০ টাকা

এসি সিঙ্গেল কেবিন

৩৫০ টাকা

ডাবল কেবিন

৬০০ টাকা

এসি ডাবল কেবিন

৭০০ টাকা

ভিআইপি

১৫,০০০ টাকা

চাঁদপুরের দর্শনীয় স্থান

এখন আমরা আলোচনা করব চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত এর চাঁদপুরের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে। চাঁদপুরের দর্শনীয় স্থানগুলো হলো-

হযরত শাহরাস্তির মাজার

চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত এর চাঁদপুরের দর্শনীয় স্থান এর প্রথমে রয়েছে হযরত শাহরাস্তির মাজার। এই মাজারটি চাঁদপুর জেলার শ্রীপুর গ্রামে অবস্থিত। রাস্তি শাহ্ ১২৩৮ খ্রিষ্টাব্দে ইরাকের বাগদাদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে তিনি ৭৩৮ বঙ্গাব্দে ইয়েমেন এবং ১৩৫১ সালে বাংলাদেশে আসেন। পরবর্তীতে তার নামনুসারে শাহরাস্তি উপজেলার নামকরণ করা হয়। 

অঙ্গীকার ভাস্কর্য

চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত এর চাঁদপুরের দর্শনীয় স্থান এর দ্বিতীয়তে রয়েছে অঙ্গীকার ভাস্কর্য। চাঁদপুর জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মুক্তিযোদ্ধা সড়কের পাশের লেকে ১৯৭১ সালে অঙ্গীকার ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অবস্থিত অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যের স্থপতি সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ এটি নির্মাণ করেন। চাঁদপুরের কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধ হিসেবে খ্যাত ১৫ ফুট উচ্চতার অঙ্গীকার ভাস্কর্য তৈরিতে সিমেন্ট, পাথর এবং লোহা ব্যবহার করা হয়েছে।

বড় স্টেশন

চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত এর চাঁদপুরের দর্শনীয় স্থান এর তৃতীয়তে রয়েছে বড় স্টেশন। চাঁদপুর ঘুরতে এসে বড় স্টেশনে আসেননি এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। পদ্মা, মেঘনা এরং ডাকাতিয়া এই তিন নদীর মিলনস্থলটি মোলহেড নামেও পরিচিতি লাভ করেছে। এই তিন নদীর মোহনায় সূর্যাস্থের দৃশ্য, ছোট ছোট নৌকার ভেসে চলা, নদীর কূলে পানি আঁচড়ে পড়ার শব্দ সারাজীবন মনে রাখার জন্য যথেষ্ঠ।

রুপসা জমিদারি বাড়ি

চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত এর চাঁদপুরের দর্শনীয় স্থান এর চতুর্থ রয়েছে রুপসা জমিদারি বাড়ি। রুপসা জমিদারি বাড়ি চাঁদপুর জেলার প্রাচীন জনপদ ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুপসা গ্রামে অবস্থিত। ১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে আহম্মদ রাজা ব্রিটিশদের কাছ থেকে জমিদারি কিনে এখানে জমিদার বাড়ি নির্মাণ করেন। জমিদার আহম্মেদ গাজী ছিলেন প্রজাহিতৈষী একজন সমাজসেবক। দানশীলতা এবং দয়া তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে নিয়ে গেছে অনেক উচ্চতায়।

লোহাগড়া মঠ, চাঁদপুর

চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত এর চাঁদপুরের দর্শনীয় স্থান এর পঞ্চমে রয়েছে লোহাগড়া মঠ, চাঁদপুর। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার চান্দ্রা বাজার থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে লোহাগড়া গ্রামের মঠটি কিংবদন্তীর সাক্ষী হিসেবে এখনো দন্ডায়মান।

চাঁদপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তির নাম

এখন আমরা আলোচনা করব চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত এর চাঁদপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তির নাম সম্পর্কে। চাঁদপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি হলেন আলহাজ্ব শেখ আব্দুল মান্নান।

আলহাজ্ব শেখ আব্দুল মান্নান নিঃসন্দেহে চাঁদপুর জেলার একজন বিখ্যাত ব্যক্তি। তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলার বহুল পরিচিত, বহু বিশিষ্টজনের জন্মস্থান মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি এই ইউপিতে ১৯৭৩ সালের ১৪ মার্চ থেকে ১৯৭৭ সালের ১৬ মার্চ প্রথম মেয়াদে, ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল দ্বিতীয় মেয়াদে এবং ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯২ সালের ২১ এপ্রিল পর্যন্ত তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্বপালন করেন।

চাঁদপুরের বিখ্যাত খাবার – চাঁদপুর জেলার বিখ্যাত খাবার

এখন আমরা আলোচনা করব চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত এর চাঁদপুরের বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে। চাঁদপুরের বিখ্যাত খাবার হল মিষ্টি। ওয়ান মিনিট এর মিষ্টির জন্য বিখ্যাত। চাঁদপুর জেলার বিখ্যাত খাবার হল মতলবের দেশ বিখ্যাত ক্ষীর। ওয়ান মিনিট নামে খ্যাত চাঁদপুরের এই ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকারে কোনো বিশেষ দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। বছরের প্রতিটি দিনই মিষ্টিবিলাসীদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায় এখানে। শুধুই কি মিষ্টি! পাশাপাশি গরুর খাঁটি দুধ দিয়ে তৈরি আইসক্রিম খেতেও ক্রতারা ভিড় জমায় এখানে।

চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র কালীবাড়ি এলাকা সংলগ্ন প্রেসক্লাব সড়কে ওয়ান মিনিট নামের মিষ্টান্ন ভান্ডারের অবস্থান। ১৯৬৩ সালের দিকে পূর্বপুরুষের হাত ধরে শুরু হওয়া প্রতিষ্ঠানটি স্বগৌরবে চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান কর্ণধাররা। চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার সুস্বাদু ক্ষীর সম্পর্কে এই প্রবচন স্থানীয় ভোজনরসিক লোকজনের মুখে মুখে। ব্রিটিশ আমল থেকে অদ্যাবধি মতলবের ক্ষীর দেশ ও বিদেশে প্রায় সমানভাবে সমাদৃত। ব্রিটিশ আমলে জমিদার এরং ইংরেজদের খাবারের তালিকায় এ ক্ষীর ছিল।

পরিশেষে

আপনাদের জন্য কিছু কথা। আশা করি চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত এ সম্পর্কে উপরে আলোচিত বিষয় হতে আপনারা পূর্ণাঙ্গ একটি ধারণা পেয়েছেন। অবশেষে আমার কিছু কথা। আজকে আমি আপনাদের সাথে চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করি আর্টিকেলটি থেকে চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত এই প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *