আসসালামু আলাইকুম, সম্মানিত মুসলিম ভাই/বোন। আজ আমি আলোচনা করব শবে কদরের ফজিলত সম্পর্কে। আমরা অনেকেই শবে কদরের ফজিলত জানিনা। জানি না এজন্য শবে কদর রাতে মন দিয়ে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হতে পারে না। কেমন যেন জোরপূর্বক আমাদেরকে লাইলাতুল কদর এর নামাজ পড়ানো হয়। হ্যাঁ, যদি আপনি শবে কদর নামাজের ফজিলত সম্পর্কে না জানেন তাহলে আপনার কাছে এমনই মনে হবে। এজন্য অনেক মুসলিম ভাই/বোন জানতে চান, শবে কদরের নামাজের ফজিলত কি? এর পাশাপাশি আমরা শবে কদরের নামাজের তাসবিহ গুলো জানাবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক শবে কদরের ফজিলত ও শবে কদরের নামাজের তাসবিহ।
শবে কদর কি?
লায়লাতুল অর্থ রাত/রজনি এবং কদর অর্থ ভাগ্য/তকদীর। এক কথায় লায়লাতুল কদর অর্থ তকদিরে রাত বা ভাগ্য রজনী। এছাড়া এর অন্য অর্থ দাঁড়ায়- ভাগ্য, পরিমাণ ও তাকদির নির্ধারণ করা। পবিত্র এই রাতে বান্দার ইবাদত-বন্দেগিতে হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক সব দেওয়া হয়। মুসলমানদের জন্য শবে কদরের রাত বা লাইলাতুল কদর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বরকত ময় মহিমান্বিত একটি রাত। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন মাজীদে “ সূরা কদর” নামে একটি সূরা নাযিল করেছেন। “ সূরা কদর’-এ মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন- “ নিশ্চয়ই আমি কুরআন নাযিল করেছি কদর (মর্যাদাপূর্ণ) রজনীতে। আপনি কি জানেন মহিমান্বিত কদর রজনী কি? মহিমান্বিত রজনী হচ্ছে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম একটি রজনী। সে রাতে ফেরেশতাগণ হযরত জিবরাঈল (আঃ) সমভিব্যাহারে অবতরণ করেন; তাদের প্রভু মহান আল্লাহর নির্দেশ ও অনুমতিক্রমে, সকল বিষয়ে শান্তির বার্তা নিয়ে। এ শান্তির ধারা চলতে থাকে ঊষার উদয় পর্যন্ত।” (সুরা-৯৭ কদর, আয়াত: ১-৫)।
শবে কদরের ফজিলত – শবে কদরের নামাজের ফজিলত
শবে কদর বা লাইলাতুল কদর হচ্ছে বছরের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ উত্তম ও বরকতময় একটি রাত। মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরে পবিত্র মহাগ্রন্থ কোরআন শরীফ নাযিল করেছেন আমাদের প্রিয় নবী রাসুল (সাঃ) এর উপর। লাইলাতুল কদর রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কা মোকাররমার জাবালে রহমত তথা হেরা পাহাড়ের গুহায় মহান আল্লাহ পাক জিবরাঈল (আ:) এর মাধ্যমে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি কুরআনুল কারীম অবতীর্ণের সূচনা হয়।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
উচ্চারণঃ ইন্নাআনঝালনা-হু ফী লাইলাতিল কাদর।
অর্থঃ নিশ্চয়ই আমি এটি নাযিল করেছি লাইলাতুল কদরের মাহাত্ম্যপূর্ণ রজনীতে। (সূরা আল কদর: ১)
লায়লাতুল কদরের রাত একটি মহিমান্বিত রাত। লায়লাতুল কদরের রাত হাজার মাসের থেকেও বেশি উত্তম একটি রাত। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,
لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
উচ্চারণঃ লাইলাতুল কাদরি খাইরুম মিন আলফি শাহর।
অর্থঃ লায়লাতুল কদর এক হাজার মাস থেকে উত্তম। (সূরা আল কদর: ৩)
অর্থাৎ লাইলাতুল কদরের রাতে করা আমাদের আমল গুলো সারা বছরের এক হাজার মাস আমল করার চেয়েও উত্তম আমল।
লায়লাতুল কদর রাতে হযরত জিব্রাইল (আঃ) অন্যান্য ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে পৃথিবীতে অবতরণ করেন শান্তির বার্তা নিয়ে এবং সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত তারা পৃথিবীর অবস্থান করেন। প্রিয় নবী মুহাম্মদ রাসুল (সাঃ) বলেছেন, লাইলাতুল কদরের রাতে রামাদানের ২৭ বা ২৯ তম রাতে পৃথিবীতে ফেরেশতারা কঙ্করের সংখ্যার চাইতেও বেশি থাকেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,
تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ
উচ্চারণঃ তানাঝঝালুল মালাইকাতুওয়াররুহু ফীহা-বিইযনি রাব্বিহিম মিন কুল্লি আমর।
অর্থঃ সে রাতে ফেরেশতারা ও রূহ (জিবরীল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করেন। (সূরা আল কদর: ৪)
سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ
উচ্চারণঃ ছালা-মুন হিয়া হাত্তা-মাতলা’ইল ফাজর।
অর্থঃ শান্তিময় সেই রাত, ফজরের সূচনা পর্যন্ত।
লায়লাতুল কদর রাতে মহান আল্লাহতালা তার সকল সৃষ্টির ১ বছরের জন্য ভাগ্য নির্ধারণ করে দেন। (সূরা আল কদর: ৫)
আমাদের মুসলমানদের জন্য লাইলাতুল কদর বা শবে কদরের ফজিলত অনেক বেশি। আমাদের সকলের উচিত শবে কদর রাতে সকল কাজকর্ম ত্যাগ করে মহান আল্লাহ তাআলার ইবাদত নিজেকে সমার্পণ করা। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রেখে অধিক সওয়াব লাভের আশায় ও আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শবে কদরের রাতে আল্লাহ তাআলার ইবাদত-বন্দেগী করবে, মহান আল্লাহতালা ওই ব্যক্তির পূর্বের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন, ইনশাল্লাহ।
আরও পড়ুনঃ শবে কদর নামাজের নিয়ত
শবে কদরের নামাজের তাসবিহ
অনেকেই জানতে চান শবে কদরের নামাজের তাসবিহ গুলো। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা লাভের জন্য পবিত্র কুরআনুল কারীম থেকে সংগ্রহীত ১১টি দোয়া। দোয়াগুলো শবে কদরের নামাজের তাসবিহ হিসেবে পড়তে পারবেন। শবে কদরের নামাজের তাসবিহ নিচে দেওয়া হল-
শবে কদরের দোয়া
পবিত্র লাইলাতুল কদরের দোয়া শবে কদরের দোয়া রয়েছে। রমজানের শ্রেষ্ঠতম এই পবিত্র শবে কদরে মহান আল্লাহতালার উপর বিশ্বাস রেখে যদি কোন ইবাদত সোয়াবের আশায় করা হয় তাহলে পূর্বের সকল গোনাহ মহান আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন। শবে কদরের দোয়াটি হচ্ছে-
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
উচ্চারণঃ ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।’
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন তাই আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)
আরও পড়ুনঃ লাইলাতুল কদর সম্পর্কে হাদিস
উক্ত দোয়াটি হচ্ছে শবে কদরের দোয়া। শবে কদরের রাতে শবে কদরের দোয়া বেশি বেশি পড়ুন। এছাড়াও রমজানের অন্যসব দিনগুলোতেও শবে কদরের দোয়া পড়তে পারেন। সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, রমজানের শেষ দশকের প্রত্যেক রাতে এই দোয়াটি বেশি বেশি করে পড়া।
এছাড়াও আল্লাহর ক্ষমা পাওয়ার জন্য পবিত্র আল-কুরআনে তিনি বান্দার জন্য অনেকগুলো দোয়া তুলে ধরেছেন। নামাজের সেজদা অথবা তাশাহুদ সহ এবাদত বন্দেগিতে পড়া যাবে। উক্ত দোয়া গুলো নিচে তুলে ধরা হলো-
১) رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِيْنَ
উচ্চারণঃ “ রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুর রাহিমীন।
অর্থঃ হে আমার প্রভু! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার উপরে রহম করুন; আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ রহমকারী। ( সূরা মুমিনুন: আয়াত ১১৮)
২) رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
উচ্চারণঃ “রব্বানা আমান্না ফাগফিরলানা ওয়ারহামনা ওয়া আনতা খাইরুর রাহিমিন।”
অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। অতএব আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি রহম করুন। আপনি তো দয়ারব্বানা আমান্না ফাগফিরলানা ওয়ারহামনা ওয়া আনতা খাইরুর রাহিমিন। লুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সূরা মুমিনুন: আয়াত ১০৯)
৩) رَبِّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ فَاغْفِرْ لِيْ
উচ্চারণঃ “রাব্বি ইন্নি জালামতু নাফসি ফাগফিরলি।”
অর্থঃ হে আমার প্রভু! নিশ্চয়ই আমি নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি; অতএব আমাকে ক্ষমা করুন। ( সূরা কাসাস: আয়াত ১৬)
৪) رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণঃ “ রব্বানা ইন্নানা আমান্না ফাগফিরলানা যুনুবানা ওয়া ক্বিনা আযাবান নার।”
অর্থঃ হে আমাদের রব! নিশ্চয়ই আমরা ঈমান এনেছি; সুতরাং আপনি আমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দিন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন। ( সূরা আল ইমরান: আয়াত ১৬)
৫) رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ
উচ্চারণঃ “রাব্বানা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাসিরিন।”
অর্থঃ হে আমাদের প্রভু! আমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি দয়া না করেন, তবে আমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব। ( সূরা আরাফ: আয়াত ২৩)
৬) رَبَّنَا اغْفِرْ لِيْ وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ يَوْمَ يَقُوْمُ الْحِسَابُ
উচ্চারণঃ “রাব্বানা গফিরলি ওয়ালি ওয়ালি দাইয়া ওয়ালিল মু’মিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।”
অর্থঃ হে আমাদের প্রভু! যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন আপনি আমাকে, আমার বাবা-মাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করুন। (সূরা ইব্রাহীম: আয়াত ৪১)
৭) سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيْرُ
উচ্চারণঃ “ সামিনা ওয়া আত্বানা গুফরানাকা রাব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাছির।”
অর্থঃ আমরা আপনার বিধান শুনলাম এবং মেনে নিলাম। হে আমাদের রব! আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন। আপনার দিকেই তো আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে। (সূরা আল বাকারা: আয়াত ২৮৫)
৮) رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنتَ مَوْلاَنَا
উচ্চারণঃ “ওয়াফু আন্না ওয়াগফিরলানা ওয়ারহামনা আনতা মাওলানা ফানসুরনা আলাল কাওমিল কাফিরিন।”
অর্থঃ হে আমাদের রব! যে বোঝা বহন করার সাধ্য আমাদের নেই, সে বোঝা আমাদের উপর চাপিয়ে দিও না। আমাদের পাপ মোচন করো। আমাদের ক্ষমা করো এবং আমাদের প্রতি দয়া করো। তুমিই আমাদের প্রভু। (সূরা বাকারা: আয়াত ২৮৬)
৯) رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِيْنَ سَبَقُوْنَا بِالْإِيْمَانِ
উচ্চারণঃ রাব্বানাগফিরলানা ওয়ালি ইখওয়ানি নাল্লাজিনা সাবাকুনা বিল ইমানি।
অর্থঃ হে আমাদের প্রভু! আমাদের ক্ষমা যা আমার ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে; তাদের কেউ ক্ষমা করুন ( সূরা হাশর: আয়াত ১০)
১০) رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِيْ أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِيْنَ
উচ্চারণঃ রাব্বানাগফিরলানা জুনুবানা ওয়া ইসরাফি ফি আমরি ওয়া ছাব্বিত আকদামানা ওয়ানসুরনি আলাল কাওমিল কাফিরিন।
অর্থঃ হে আমাদের প্রভু! আমাদের ভুল ত্রুটিগুলো মাফ করে দিন। আমাদের কাজের মধ্যে যেখানে আপনার সীমালংঘন হয়ে গেছে; সেগুলো ক্ষমা করে দিন। আমাদের কদমকে অবিচল রাখুন এবং অবিশ্বাসীদের মোকাবেলায় আমাদেরকে সাহায্য করুন। (সূরা আল ইমরান: আয়াত ১৪৭)
১১) رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ
উচ্চারণঃ “রাব্বানা ফাগফিরলানা জুনুবানা ওয়া কাফফির আন্না সায়্যিআতিনা ওয়া তাওয়াফফানা মায়াল আবরার।”
অর্থঃ হে আমাদের প্রভু! সুতরাং আমাদের গোলাগুলো ক্ষমা করুন। আমাদের ভুলগুলো দূর করে দিন এবং সৎকর্মশীল লোকদের সাথে আমাদের শেষ পরিণতি দান করুন। ( সূরা আল ইমরান: আয়াত ১৯৩)
আরও পড়ুনঃ শবে কদরের ফজিলত
মুমিন-মুসলমানদের উচিত, নামাজের মধ্যে সেজদারত অবস্থায় এই তাজবিহগুলো পড়া। অথবা শেষ বৈঠকে তাশাহুদ ও দুরুদ পড়ার পর নিজেদের গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কোরআনে বর্ণিত এই দোয়া গুলো বেশি বেশি করে পড়া।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে লায়লাতুল কদর পাওয়ার তৌফিক দান করুন। আমাদের সবাইকে হাদিসের শেখানো শবে কদরের দোয়া পড়ে গোনাহ মুক্ত জীবন গড়ে তোলার তৌফিক দান করুন। কোরআনে উল্লেখিত দোয়া গুলো পড়ার মাধ্যমে আমাদের জীবনের বিগত গোনাহগুলো থেকে মুক্ত হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।