সংরক্ষণ বলতে আমরা বুঝি তুলে রাখা বা পরবর্তীতে ব্যবহারের যোগ্য। ঠিক তেমনি কাঁঠালের বিচি কে ব্যবহার করা যায় সংরক্ষণ করে।
আমরা বিভিন্ন প্রকার মাছকে সংরক্ষণ করে রাখি শুঁটকীকরণ এর মাধ্যমে যেন পরবর্তীতে আমরা এটিকে খেতে পারি।
ঠিক তেমনি কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করে রাখা যায় পরবর্তীতে খাওয়ার জন্য।
সারা বছর কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করে রাখার উপায় নিচে বর্ণনা করা হলো
ট্রেডিশনাল পদ্ধতি বা গ্রামীণ জীবনে কিভাবে কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করা হয় তা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
গ্রামের মানুষ গুলোর দিকে তাকালে আপনি বুঝতে পারবেন তারা প্রকৃতির সাথে কিভাবে বেঁচে থাকে লড়াই কর। তারা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জিনিসকে সংরক্ষণ করে থাকে। আপনি শুনে অবাক হয়ে যাবেন ছাই এর মাধ্যমে তারা কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করে রাখে।
আপনি চাইলেই এই পদ্ধতিতে সারা বছর কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন প্রথমে আপনি কাঁঠালের বিচি গুলোকে পরিষ্কার করে নিবেন।
বিচি গুলোর খোসা কিন্তু ছাড়ানো যাবে না এদিক থেকে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
একটি পরিষ্কার পাত্রে ছাই নিবেন যা আপনি ওই পাত্রের মধ্যে বিছিয়ে দিবেন।
পরিষ্কার করে নেওয়া বিচিগুলোকে আপনি এস আই এর উপর বিছিয়ে দিবেন এমন ভাবে বুঝিয়ে দিবেন যেন ছাই পরিপূর্ণ থাকে।
বিচিগুলো যেন ছাই এর উপর পরিপূর্ণ ভাবে থাকে। তারপর আপনি এগুলোর সাথে বিচিগুলোকে ভালোভাবে মাখিয়ে নিবেন।
আপনার কাজ ধরে নিন পুরোপুরি প্রায় শেষ এখন আপনি একটা মাটির পাত্র নিন, যে পাত্রের মধ্যে আবার আপনি ছাই বিছিয়ে দিবেন তারপর সে বিচিগুলোকে রেখে তার ওপরে আবার ছাই দিয়ে ঢেকে দেবেন।
ভালোভাবে সংরক্ষণের জন্য মাটির পাত্রটিকে সুন্দরভাবে ডেকে দিবেন এবং ঠাণ্ডা একটি জায়গায় রেখে দিন ব্যাস আপনার কাজ শেষ এখন আপনি সারা বছরই বিচিগুলোকে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
কতই না সুন্দর গ্রামীণ জীবন তারা কত সহজে ভিন্ন রকম ফল ফলাদি এবং বিভিন্ন প্রয়োজনের জিনিসগুলোকে সংরক্ষণ করে রাখে প্রকৃতি থেকে নেয়া’ উপাদানের মাধ্যমে।
এবার আসি কিছুটা শহরে পদ্ধতিতে – যাকে বলা হয় ফ্রিজিং পদ্ধতি (Freezing Method)
ফ্রিজিং পদ্ধতিতে কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে কাঁঠালের বিচি গুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে তারপর শুকিয়ে নিতে হবে।
তবে হ্যাঁ মনে রাখতে হবে এই ফ্রীজিং পদ্ধতিতে কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করার জন্য অবশ্যই কাঁঠালের বিচির খোসাগুলো ছাড়িয়ে নিতে হবে।
কাঁঠালের বিচির খোসা ছাড়ানোর পর আমরা খেয়াল করলে দেখব বিচির উপর একটি লাল পর্দার মতো থাকে। সে পর্দা তুলে ফেলার জন্য হালকা গরম পানির মধ্যে একটু লবণ ছেড়ে দিতে হবে।
বিচিগুলোকে সে গরম পানিতে সেদ্ধ করতে হবে তবে হ্যাঁ কাঁচা থাকতে হবে পুরোপুরি সিদ্ধ করা যাবে না।
এখন গরম পানি থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা পানিতে বিচিগুলোকে দিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে যাতে লাল পর্দাটি সহজে উঠে যায় এবং বিচিগুলো পরিষ্কার হয়ে যায়।
বিচিগুলো পরিষ্কার হয়ে গেলে এখন আপনি একটি পাত্রে বিচিগুলোকে রেখে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন তবে হ্যাঁ ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে যে পাত্রে আপনি রাখছেন সে পাত্রটি অবশ্যই এয়ারটাইট হতে হবে যাতে বিচিগুলো আবার নষ্ট না হয়ে যায়।
এই ফ্রিজিং পদ্ধতিতে আপনি সারা বছর কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
শহুরে জীবন এবং গ্রামীণ জীবন কতইনা আলাদা তবে আমরা এই দুই পদ্ধতিতেই কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করে রাখতে পারি