Breaking News
Home / Education / রমজানের সবচেয়ে বড় অফার কি – রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস

রমজানের সবচেয়ে বড় অফার কি – রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস

 রমজানের সবচেয়ে বড় অফার কি বা কোনটি ও রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস আমাদের আজকের আলোচনা। রমজানের সবচেয়ে বড় অফার কি এমন প্রশ্ন অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকেন। রমজানের সবচেয়ে বড় অফার কি এই প্রশ্নটির সমাধান আমরা আজ এই পোষ্টের মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা করব।  এছাড়াও আজকের পোস্টে থাকবে রমজানের সবচেয়ে বড় ফজিলত কোনটি। দেরি না করে চলুন দেখে নেওয়া যাক রমজানের সবচেয়ে বড় অফার কি  ও রমজানের সবচেয়ে বড় ফজিলত কোনটি সে সম্পর্কে। 

রমজানের সবচেয়ে বড় অফার কি



রমজান মাসের ফজিলত ও বৈশিষ্ট্যের বর্ণনা

  •  রমজান মাসের ফরজ রোজা পালন

  •  পবিত্র কুরআন নাযিল

  •  জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়ার মাস

  •  শয়তানকে শৃঙ্খলা বন্ধ করা

  •  লাইলাতুল কদর পাওয়া

  •  দোয়া কবুল হওয়া

  •  জাহান্নাম থেকে মুক্তি

  •  ক্ষমা পাওয়া

  •  সৎ কাজের প্রতিদান বহুগুনে বেড়ে যাওয়া

  •  হজের সওয়াব পাওয়া

  • রোজাদারের বিশেষ সম্মান 

রামাদান মাস কে ভালো কাজে লাগানোর উপায়

  • পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সঠিকভাবে আদায় করতে হবে, ছেলেদের জামাতের সাথে আদায় করতে হবে। মসজিদের জামাত মিস হয়ে গেলে একাকী আদায় করে নেবে। 

  • রামাদান মাসের প্রতিদিন নিয়মিত অর্থ বুঝে পবিত্র আল কোরআন পাঠ করা।

  • তারাবির নামাজ পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এজন্য প্রতিদিন তারাবির নামাজ আদায় করা উচিত।  ছেলেরা অবশ্যই মসজিদে গিয়ে প্রতিদিন তারাবির নামাজ আদায় করবে জামাতের সহিত। 

  • আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিদিন একজন হলেও তাকে ইফতার করানোর চেষ্টা করেন।  গরিব-দুঃখী অসহায় মুসাফিরদের যতটুকু সম্ভব সাহায্য সহযোগিতা করার চেষ্টা করুন। 

  •  বরকতের  এই রমজান মাসে কম ঘুমানোর চেষ্টা করুন ও বেশি বেশি ইস্তেগফার,  দোয়া দরুদ পাঠ করতে থাকুন।  রাতের বেলায় তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করা। 

  • রামাদান মাসে সকল ধরনের পাপ কাজ, হিংসা- বিদ্বেষ, লোকজনের সমালোচনা করা থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখুন। সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করুন এবং সবাইকে ক্ষমা করে দিন। 

  • কবিরা-সগিরা, ছোট-বড় সকল ধরনের গুনাহ থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করুন।  নফল, মুস্তাহাব, সুন্নত সহ ইত্যাদি সকল ছোট বড় আমল বেশি বেশি করার চেষ্টা করুন। 

রমজানের সবচেয়ে বড় অফার কি বা কোনটি?

আরবি ১২ মাসের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মাস হচ্ছে রমজান মাস।  এই রমজান মাসের ওসিলায় আমাদের মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলের জীবনের সমস্ত গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন। রমজানের সবচেয়ে বড় অফার কি? রমজানের সবচেয়ে বড় অফার হচ্ছে জান্নাত। প্রত্যেক বছরে একবার করে এই বরকতময় রমজান মাস আমাদের মাঝে আসে। পবিত্র আল-কোরআন  অবতরণ, তাকওয়া অর্জন ও রহমত বর্ষণের মাস হচ্ছে এই পবিত্র রমাদান মাস। আমাদের উচিত এই রমাজান মাসে বেশি বেশি করে নেক আমল করা।  সমস্ত ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা এবং সঠিকভাবে নামাজ রোজা পালন করা ও আল্লাহ তাআলার ইবাদত বন্দেগী করা। 

রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস – রমজান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত

রোজা একটি ফার্সি শব্দ,  রোজার আরবি অর্থ সাওম এবং সাওম এর বহুবচন হচ্ছে সিয়াম। সাওম বা সিয়ামের বাংলা অর্থ হচ্ছে বিরত থাকা। সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল ধরণের পানাহার থেকে এবং পাপকাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখার নামই সিয়াম বা রোজা। রমজান মাস আমাদের জন্য রহমতের মাস, নাজাতের মাস, মাগফিরাতের মাস। রামাদান মাসা আমাদের কাছে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ মাস। পোষ্টের এই অংশে আমরা জানব রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস বা রমজান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে। 

হিজরী সনের  মাসগুলোর মধ্যে সর্ব সেরা মাস রমজান মাস। রমজান মাসের সকল ইবাদতের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত রোজা।  আল্লাহ তায়ালার অত্যন্ত প্রিয় ইবাদত রোজা।  এর প্রতিদান তিনি নিজ হাতেই দিবেন।  রোজার ফজিলত মর্যাদা সম্পর্কে অসংখ্য হাদিস রয়েছে। নিম্নে রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস দেওয়া হল-

রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস নং-১

হযরত আবু হুরায়রা (রা.)  বর্ণনা করেছেন,  হাদিসে  কুদসিতে  আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন,  আল্লাহ তাআলা বলেন, “ আদম সন্তানের প্রত্যেক আমল তার নিজের জন্য- রোজা ব্যতীত।  কারণ, রোজা আমার জন্যই এবং আমি নিজেই তার প্রতিদান দেবো।” মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন,  “রোজা ঢাল স্বরূপ।  তোমাদের কেউ যেন সিয়াম পালনের দিন অশ্লীলতায় লিপ্ত না হয় এবং ঝগড়া-বিবাদ না করে।  যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সাথে ঝগড়া করে,  তাহলে সে যেন বলে,  আমি একজন রোজাদার।  যার হাতে মোহাম্মাদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রাণ তার শপথ!  অবশ্যই রোজাদারদের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের সুগন্ধের থেকেও সুগন্ধময়। রোজাদারদের জন্য দুইটি খুশির মুহূর্ত রয়েছে,  যা তাকে আনন্দিত করে।  যখন সে ইফতার করে, সে খুশি হয় এবং যখন সে তার পালন কর্তার সাথে সাক্ষাৎ করবে,  তখন রোজার বিনিময়ে আনন্দিত হবে।” (বুখারী, হাদিস: ১৯০৪)

রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস নং-২

হযরত হুজাইফা (রা.) বলেছেন,  আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, “ মানুষের পরিবার, ধন সম্পদ ও প্রতিবেশীর ব্যাপারে গঠিত বিভিন্ন ফেতনা ও গুনাহ কাফফারা হলো নামাজ,  রোজা ও সদাকা।” (বুখারী, হাদিস: ১৮৯৫)

রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস নং-৩

(মুসনাদে আহমাদ – সহিহুল জামিউস সাগির এর ৩৮৭৯ নাম্বার হাদিস)

হযরত ওসমান বিন আবুল আস হতে বর্ণিত আছে,  মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, “ রোজা জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য ঢালস্বরূপ,  যেমন যুদ্ধের সময় নিজেকে রক্ষা করার জন্য তোমাদের ঢাল থাকে।” 

রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস নং-৪

হযরত হুজাইফা (রা.) বর্ণনা করেছেন,  মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার বুকে হেলান দিয়ে ছিলেন।  তখন তিনি বললেন, ‘ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’  বলার পর যে ব্যক্তির জীবনের পরিসমাপ্তি  ঘটবে,  সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।  আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে একদিন রোজা রাখার পর যে ব্যক্তি জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে,  সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।  আর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কিছু সদকা করার পর যে ব্যক্তির জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে,  সেও জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসনাদে আহমাদ, সহিহ তারগিব, হাদিস: ৯৭২)

রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস নং-৫

হযরত আবু সাঈদ (রা.)  বর্ণনা করেছেন,  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “ যে বান্দা আল্লাহর পথে একদিন মাত্র রোজা রাখবে,  সেই বান্দাকে আল্লাহ বিনিময় জাহান্নাম থেকে 70 বছরের পথ পরিমান দূরত্ব রাখবেন।” ( বুখারী,  হাদিস: ২৮৪০)

রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস নং-৬

হযরত সাহল  ইবনে সাআদ (রা.)  থেকে বর্ণিত হয়েছে,  আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, “ জান্নাতের এক প্রবেশদ্বার রয়েছে,  যার নাম রাইয়ান।  কেয়ামতের দিন ওই প্রবেশদ্বার বা দরজা দিয়ে রোজাদারগণ প্রবেশ করবে।  তারা ছাড়া আর কেউই ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না।  বলা হবে, ‘কোথায় রোজাদারগণ?’  তারা ওই দরজা দিয়ে (জান্নাতে)  প্রবেশ করবে।” 

শেষ কথা

উপরোক্ত আলোচনায় আমরা রমজানের সবচেয়ে বড় অফার কি  এবং রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস জানানোর চেষ্টা করেছি। রমজানের সবচেয়ে বড় অফার কি অনেকেই জানতে চান। আশা করছি আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার পর আপনার কাছে বিষয়টি ক্লিয়ার হয়ে যাবে। রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস গুলো সিরিয়ালে দেওয়া আছে। চাইলে দেখে নিতে পারেন। 



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *