আসসালামু আলাইকুম, সম্মানিত পাঠকবৃন্দ। আজ উপস্থিত হয়েছি ঈদের নামাজের নিয়ম ও ঈদের নামাজের নিয়ত সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য। আমাদের সমাজের অনেকেই আছেন যারা এখনও ঈদের নামাজের নিয়ম বা ঈদের নামাজের নিয়ত সম্পর্কে জানেন না। মুসলমানদের জন্য ঈদের নামাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি নামাজ। আপনি যদি ঈদের নামাজের নিয়ম ও ঈদের নামাজের নিয়ত সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত।
মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে ঈদ। চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল হয়ে ১৪৪৩ হিজরীর পবিত্র ঈদুল ফিতর ২ অথবা ৩ মে উদযাপন করা হবে। মুসলমানরা প্রত্যেক বছরে দুইটি ঈদ উদযাপন করে থাকে; ফলে আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ঈদের নামাজের নিয়ম কানুন ভুলে যান। ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব মুসলমানদের জন্য। তাই সঠিকভাবে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম দেখে নিন। যাতে করে সঠিকভাবে আপনি ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন। আমাদের এই পোস্টে ঈদের নামাজের নিয়ম, ঈদের নামাজের নিয়ত ও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর তুলে ধরা হয়েছে। (ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত)
ঈদের নামাজের শর্ত – ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত
ঈদের নামাজের শর্ত হচ্ছে জামাত। উন্মুক্ত স্থান, মসজিদ, ছাউনিযুক্ত জায়গা অথবা বাসা-বাড়ি। ঈদের নামাজ যেখানেই হোক না কেন জামাতের সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে। শুধু আজান এবং ইকামত ছাড়া জুমার নামাজের জন্য যে সমস্ত শর্ত প্রয়োজন হয়ে থাকে ঈদের নামাজের জন্যও এ কি শর্ত প্রয়োজন।
জামাত ব্যতীত যেমন ঈদের নামাজ আদায় করা যায় না। একইভাবে বাসা বাড়িতে ঈদের নামাজ আদায় করতে হলে আপনাকে অবশ্যই জামাতের সাথে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে অতঃপর ঈদের নামাজ আদায় হবে না। যেহেতু ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য জামাত করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩ জন হলে ঈদের নামাজ জামাতে পড়তে পারবেন।
ঈদের নামাজের নিয়ম আযান ও ইকামত নেই। কিন্তু জুমআর নামাযের মত করে উচ্চ আওয়াজে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে ঈদের নামাজ পড়তে হয়। ঈদের নামাজ শেষ হওয়ার পর দুইটি খুতবা দিতে হয়। যেমন করে জুমার নামাজের আগে দুই খুতবা দেওয়া হয়ে থাকে।
জুমা ও ঈদের নামাজের পার্থক্য – ঈদের নামাজের নিয়ম
শুক্রবারে আমরা সবাই জুমার নামাজ আদায় করে থাকে। জুমার নামাজের সাথে ঈদের নামাজের অনেকটাই সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। তবে কিছু পার্থক্যও রয়েছে জুমা ও ঈদের নামাজের মধ্যে। চলুন জেনে নেওয়া যাক জুমা ঈদের নামাজের পার্থক্য গুলো।
১) ঈদের নামাজে আজান ও ইকামত নেই।
২) ঈদের নামাযে অতিরিক্ত ৬ তাকবীরের সহিত আদায় করতে হয়।.৬ তাকবিরসহ আরও বেশি তাকবিরের কথা হাদীসে উল্লেখ রয়েছে। (ঈদের নামাজের নিয়ম)
৩) জুমার নামাজের আগে ২টি খুৎবা দিতে হয় কিন্তু ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম হচ্ছে ঈদের নামাজের পর ২টি খুৎবা দিতে হয়।
ঈদের নামাজের নিয়ম – ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম
মুসলমানদের জন্য ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব। ঈদের নামাজ বছরে ২ বার হয়। এজন্য আমরা অনেকেই ঈদের নামাজের নিয়ম বা ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ভুলে যাই। আপনিও হয়তো ঈদের নামাজের নিয়ম ভুলে গেছেন তাই ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম জানতে চাচ্ছেন। যেহেতু আমাদের জন্য ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব; তাই আমাদের অবশ্যই ঈদের নামাজের নিয়ম জানতে হবে। যারা ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ভুলে গেছেন তারাও এই পোস্ট থেকে ঈদের নামাজের নিয়ম শিখে নিতে পারবেন। আপনাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ঈদের নামাজের নিয়ম জানানোর পাশাপাশি ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে একটি প্যাকটিকেল ঈদের নামাজের নিয়ম এর ভিডিও দিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকে আপনারা খুবই সহজে দেখে নিতে পারবেন কিভাবে ঈদের নামাজ পড়তে হয়।
ঈদের নামাজের নিয়ম বা ঈদের নামাজের নিয়ম কানুন নিম্নোক্ত দেওয়া হলঃ-
প্রথম রাকাত – ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত
১) ইমামের সহিত তাকবীরে তাহরীমা “আল্লাহু আকবার” বলে উভয় হাত বাধতে হবে।
২) হাত বাধার পর ছানা পড়তে হবে
“সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়াতাবারা কাসমুকা ওয়া তায়ালা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুকা।”
৩) এরপর অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর দিতে হবে।
৪) এক তাকবীর হতে আরেক তাকবীর এর মধ্যে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় ব্যবধান থাকতে হবে। (ঈদের নামাজের নিয়ম)
৫) প্রথম এবং দ্বিতীয় তাকবীরে উভয় হাত কান বরাবর উঠিয়ে তা ছেড়ে দেওয়া; তবে তৃতীয় তাকবীর দিয়ে তাকবীরে তাহরীমা মত বাধতে হবে।
৬) আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ সহ সূরা ফাতিহা পড়া।
৭) তারপর যেকোনো সূরা মিলিয়ে পড়া। এরপর নিয়মিত নামাজের মত রুকু ও সেজদা করার মাধ্যমে প্রথম রাকাত শেষ করতে হবে।
দ্বিতীয় রাকাত – ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত
১) বিসমিল্লাহ পড়তে হবে
২) সুরা ফাতেহা পড়তে হবে
৩) সাথে যে কোন সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে।
৪) সূরা মিলিয়ে পড়ার পর অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর দিতে হবে।
৫) প্রথম এবং দ্বিতীয় তাকবীরে উভয় হাত কান বরাবর উঠিয়ে তা ছেড়ে দেওয়া; তবে তৃতীয় তাকবীর দিয়ে তাকবীরে তাহরীমা মত বাধতে হবে।
৬) এরপর রুকুর তাকবীর দিয়ে রুকু করতে হবে।
৭) সেজদা দিতে হবে (ঈদের নামাজের নিয়ম)
8) শেষ বৈঠকে বসতে হবে; তাশাহুদ, দরুদ ও দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরানোর মাধ্যমে ঈদের নামাজ সম্পন্ন করতে হবে।
৫) ঈদের নামাজের সালাম ফেরানোর পর তাকবীর পড়তে হবে।
اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَروَلِلهِ الْحَمْد
ঈদের নামাযের তাকবীর: “আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।”
৬) ঈদের নামাজের পর ইমাম সাহেব ২টি খুতবা দিবেন। (ঈদের নামাজের নিয়ত)
ঈদের নামাজের নিয়ম হচ্ছে নামাজ শেষে সালাম ফেরানোর পর ইমাম সাহেব খুতবা দেবেন এবং মুসল্লীরা মনোযোগ সহকারে ইমাম সাহেবের খুৎবা শুনবে। অনেকেই ঈদের নামাজের খুতবা জানতে চান। ঈদের নামাজের খুতবা কিভাবে দিতে হবে? ঈদের নামাজের খুতবার নিয়ম, ঈদের নামাজের খুতবা বাংলা উচ্চারণ সহ ঈদের নামাজের খুতবা এর পোষ্ট নিচে দেওয়া হল। খুতবা বাংলা উচ্চারণ সহ ঈদের নামাজের খুতবা নিচের পোষ্টে দেওয়া হল। আপনারা যারা ঈদের নামাজের খুতবা জানতে চান তারা নিচের পোস্টটি দেখে নিন।
ঈদের নামাজের নিয়ত – ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত – ঈদের নামাজের নিয়ম
অনেকেই প্রশ্ন করেন ঈদের নামাজের নিয়ত কিভাবে করব? নিয়ত মানে মুখে উচ্চারণ করা নয়। “ইমামের পিছনে কেবলামুখী হয়ে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ ৬ তাকবীর এর সহিত আদায় করছি” এই কথাটি নিজের মতো করে মনে মনে সংকল্প করলেই বা ইচ্ছা করলেই নিয়ত হয়ে যাবে। ঈদের নামাজের নিয়ত মুখে উচ্চারণ করতে হবে না। ঈদের নামাজের নিয়ত হিসেবে নিচের নিয়মটি অনেকেই পড়ে থাকেন। এটি সঠিক ঈদের নামাজের নিয়ত নয়।
স্বাভাবিকভাবে আমরা ফরজ নামাজ গুলোর ক্ষেত্রে যেভাবে নিয়ত করে থাকি ঈদের নামাজের নিয়ত অনেকটাই একই রকম হবে। অর্থাৎ ঈদের নামাজের নিয়ত হবে মনে মনে। শুধু ঈদের নামাজের নিয়ত নয় দিনের বাকি ফরজ নামাজ গুলো এবং অন্যান্য সুন্নত নামাজের ক্ষেত্রেও মুখে নিয়ত করার বৈধতা পাওয়া যায় না (ঈদের নামাজের নিয়ম)। কোন কিছু করার চিন্তা মাথায় আসার পর সে ঠিক করার জন্য মনে মনে সংকল্প করায় নিহতের জন্য যথেষ্ট। অর্থাৎ আপনি যখন ঈদের নামাজের জন্য দাঁড়াবেন মনে মনে সংকল্প করবেন “ইমামের পিছনে কেবলামুখী হয়ে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ ৬ তাকবীর এর সহিত আদায় করছি” এতটুকু মনে মনে চিন্তা করলেই আপনার ঈদের নামাজের নিয়ত হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।
ঈদের নামাজের নিয়ম সংক্রান্ত প্রশ্ন – ঈদের নামাজের নিয়ম
এই পর্যায়ে ঈদের নামাজের নিয়ম সংক্রান্ত বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করবো। উত্তরগুলো নিচে দেওয়া হল:-
অসুস্থ ব্যক্তি ঈদের নামাজ না পড়লে কি গুনাহ – ঈদের নামাজ কি ওয়াজিব না সুন্নত
ঈদের নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে এ বিষয়ে জানার আগে আমরা জেনে নেই ঈদের নামাজের হুকুম কি। আমরা বছরে ২টি ইদ উদযাপন করে থাকি (ঈদের নামাজের নিয়ত)। মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা আনন্দের দিন হচ্ছে ঈদের দিন। ইদুল ফিতর এবং ইদুল আযহা। আমরা ঈদের সালাম আদায় করার মধ্য দিয়ে ঈদ উদযাপন করি। এই ঈদের সালাতের হুকুম কি? ঈদের নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে স্কলারদের মতভেদ রয়েছে। ঈদের নামাজ আদায় সম্পর্কে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে (ঈদের নামাজের নিয়ম)। যাদের প্রশ্নও রয়েছে ঈদের নামাজ কি ওয়াজিব না সুন্নত তারা নিচের দেওয়া তথ্য গুলো থেকে খুব সহজেই জানতে পারবেন ঈদের নামাজ কি ওয়াজিব না সুন্নত।
মালিকি এবং শাফী মাজহাব
মালিকি এবং শাফী মাজহাবের ঈদের নামাজ আদায় করাকে সুন্নতে মুয়াক্কাদা বলা হয়েছে। অর্থাৎ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা এর নামাজ আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা (গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ) বলেছেন মালিকি এবং শাফী মাজহাব।
হাম্বলী মাযহাব
ঈদের নামাজ আদায় করা হাম্বলী মাযহাবের মতে ফরজে কেফায়া। অর্থাৎ এলাকার কিছু লোক যদি ঈদের নামাজ আদায় করে তাহলে বাকি লোকদের উপর থেকে জিম্মাদারী কেটে যাবে।
হানাফী মাযহাব
অন্যান্য মাযহাব থেকে হানাফী মাযহাবে ঈদের নামাজ আদায় করার গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়েছে। হানাফী মাযহাব মতে ঈদের নামাজ আদায় করা হচ্ছে ওয়াজিব। খুবই গুরুত্বপূর্ণ; (ঈদের নামাজের নিয়ত)কেউ যদি ওয়াজিব তরফ করেন তাহলে সে ওয়াজিব তরফ করার কারণে গোনাহগার হবে। অর্থাৎ আপনাকে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে। আমরা যদি কোরআন-হাদিসের দৃষ্টিপাত করি তাহলে দেখতে পাব; ঈদের নামাজ কি খুবই গুরুত্বের সাথে আদায় করা হয়েছে।
অসুস্থ ব্যক্তি ঈদের নামাজ না পড়লে কি গুনাহ? হানাফি মাজহাব অনুযায়ী যেহেতু ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব। এক্ষেত্রে অসুস্থ ব্যক্তিকে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে। সম্ভব হলে ঈদগায়ে গিয়ে জামাতের সাথে অথবা বাড়িতে ছোট জামাত করে পড়তে পারবে। যদি খুব বেশি অসুস্থ হয়ে থাকে; ঈদগায়ে যেতে পারবে না কিনবা নামাজ পড়তে পারবে না। তাহলে আপনার মসজিদের ইমাম বা কোন শায়েখ এর থেকে জেনে নিবেন।
ঈদের নামাজ বাসায় পড়ার নিয়ম – একা একা ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম
একা একা ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম নেই। ঈদের নামাজ আদায় করার অন্যতম একটি শর্ত হচ্ছে জামাতের সাথে ঈদের নামাজ আদায় করা। ঈদের নামাজের নিয়ম অনেকটা জুমা নামাজের মত। জুমা ও ঈদের নামাজের মধ্যে কিছু পার্থক্য থাকলেও অনেকাংশেই নিয়ম গুলো একই রকম। এককথায় আপনাকে ঈদের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করতে হবে। একা একা ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম নেই। কমপক্ষে তিনজন হলে নামাজ পড়ার জন্য জামাত তৈরি করতে পারবেন। অনেকেই ঈদের নামাজ বাসায় পড়ার নিয়ম জানতে চাই। ঈদের নামাজ উন্মুক্ত জায়গায় ঈদের নামাজ বা খোলা জায়গায় আদায় করা সুন্নত। কিন্তু খোলা জায়গায় আদায় করা সম্ভব না হলে মসজিদ কিংবা বাড়িতে ঈদের নামাজ পড়া যাবে।জাবে অবশ্যই ঈদের নামাজ জামাতের সহিত আদায় করতে হবে। আপনি যদি ঈদের নামাজ বাসায় আদায় করতে চান তাহলে নিচের দেওয়া নিয়মে ঈদের নামাজ বাসায় পড়তে পারবেন।
ঈদের নামাজ বাসায় পড়ার নিয়ম নিম্নোক্ত দেওয়া হলঃ-
প্রথম রাকাত
১) ইমামের সহিত তাকবীরে তাহরীমা “আল্লাহু আকবার” বলে উভয় হাত বাধতে হবে।
২) হাত বাধার পর ছানা পড়তে হবে। (ঈদের নামাজের নিয়ম)
“সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়াতাবারা কাসমুকা ওয়া তায়ালা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুকা।”
৩) এরপর অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর দিতে হবে।
৪) এক তাকবীর হতে আরেক তাকবীর এর মধ্যে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় ব্যবধান থাকতে হবে।
৫) প্রথম এবং দ্বিতীয় তাকবীরে উভয় হাত কান বরাবর উঠিয়ে তা ছেড়ে দেওয়া; তবে তৃতীয় তাকবীর দিয়ে তাকবীরে তাহরীমা মত বাধতে হবে।
৬) আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ সহ সূরা ফাতিহা পড়া। (ঈদের নামাজের নিয়ত)
৭) তারপর যেকোনো সূরা মিলিয়ে পড়া। এরপর নিয়মিত নামাজের মত রুকু ও সেজদা করার মাধ্যমে প্রথম রাকাত শেষ করতে হবে।
দ্বিতীয় রাকাত
১) বিসমিল্লাহ পড়তে হবে।
২) সুরা ফাতেহা পড়তে হবে।
৩) সাথে যে কোন সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে।
৪) সূরা মিলিয়ে পড়ার পর অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর দিতে হবে।
৫) প্রথম এবং দ্বিতীয় তাকবীরে উভয় হাত কান বরাবর উঠিয়ে তা ছেড়ে দেওয়া; তবে তৃতীয় তাকবীর দিয়ে তাকবীরে তাহরীমা মত বাধতে হবে। (ঈদের নামাজের নিয়ম)
৬) এরপর রুকুর তাকবীর দিয়ে রুকু করতে হবে।
৭) সেজদা দিতে হবে
8) শেষ বৈঠকে বসতে হবে; তাশাহুদ, দরুদ ও দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরানোর মাধ্যমে ঈদের নামাজ সম্পন্ন করতে হবে।
৫) ঈদের নামাজের সালাম ফেরানোর পর তাকবীর পড়তে হবে।
اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَروَلِلهِ الْحَمْد
ঈদের নামাযের তাকবীর: “আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।”
৬) ঈদের নামাজের পর ইমাম সাহেব ২টি খুতবা দিবেন। (ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত)
ঈদের নামাজের নিয়ম হচ্ছে নামাজ শেষে সালাম ফেরানোর পর ইমাম সাহেব খুতবা দেবেন এবং মুসল্লীরা মনোযোগ সহকারে ইমাম সাহেবের খুৎবা শুনবে। অনেকেই ঈদের নামাজের খুতবা জানতে চান। ঈদের নামাজের খুতবা কিভাবে দিতে হবে? ঈদের নামাজের খুতবার নিয়ম, ঈদের নামাজের খুতবা বাংলা উচ্চারণ সহ ঈদের নামাজের খুতবা এর পোষ্ট নিচে দেওয়া হল। খুতবা বাংলা উচ্চারণ সহ ঈদের নামাজের খুতবা নিচের পোষ্টে দেওয়া হল। আপনারা যারা ঈদের নামাজের খুতবা জানতে চান তারা নিচের পোস্টটি দেখে নিন।
ঈদের নামাজ পড়া কি ফরজ – ঈদের নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে – ঈদের নামাজের নিয়ম
হানাফী মাযহাব মতে ঈদের নামাজ আদায় করার গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়েছে। হানাফী মাযহাব মতে ঈদের নামাজ আদায় করা হচ্ছে ওয়াজিব। খুবই গুরুত্বপূর্ণ; কেউ যদি ওয়াজিব তরফ করেন তাহলে সে ওয়াজিব তরফ করার কারণে গোনাহগার হবে। অর্থাৎ আপনাকে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে। আমরা যদি কোরআন-হাদিসের দৃষ্টিপাত করি তাহলে দেখতে পাব; ঈদের নামাজ কি খুবই গুরুত্বের সাথে আদায় করা হয়েছে।
আজ আমরা আলোচনা করেছি ঈদের নামাজের নিয়ম ও ঈদের নামাজের নিয়ম কানুন সম্পর্কে। ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত যদি জানতে চান; তাহলে এই পোস্টটি পড়লে আপনি তা জানতে পারবেন। পোস্টটি আপনার কাছে ভালো আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করুন। সেও হয়তো আপনার মত এই প্রশ্নের উত্তরগুলো খুঁজছে। মহান আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সবাইকে সঠিক ঈদের নামাজের নিয়ম মেনে ঈদের নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুন। আমিন।